জিম্যাক্স (Zimax) একটি এজিথ্রোমাইসিন ডাইহাইড্রেট সমৃদ্ধ ম্যাক্রোলাইড এন্টিবায়োটিক, যা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
নির্দেশনা: জিম্যাক্স নিম্নোক্ত সংক্রমণগুলোর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়:
- নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, যেমন ব্রংকাইটিস ও নিউমোনিয়া
- ঊর্ধ্ব শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, যেমন সাইনুসাইটিস, ফ্যারিনজাইটিস ও টনসিলাইটিস
- মধ্যকর্ণের প্রদাহ (অটাইটিস মিডিয়া)
- ত্বক ও কোমল কোষকলার সংক্রমণ
- যৌনবাহিত রোগ, যেমন ক্ল্যামাইডিয়া ট্রাকোমাটিস জনিত সার্ভিসাইটিস ও নন-গনোকক্কাল ইউরেথ্রাইটিস
ডোজ ও সেবনবিধি: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণত ৫০০ মি.গ্রা. দিনে একবার করে ৩ দিন সেবন করা হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে ওজন অনুযায়ী ডোজ নির্ধারণ করা হয়। ঔষধটি খাবার গ্রহণের ১ ঘণ্টা আগে বা ২ ঘণ্টা পরে সেবন করা উচিত।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: জিম্যাক্স সাধারণত সুসহনীয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে বমি-বমি ভাব, বমি, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, মাথা ব্যথা, ঘুম ঘুম ভাব এবং ত্বকে র্যাশ হতে পারে। এই লক্ষণগুলো সাধারণত ঔষধ বন্ধ করলে দূর হয়ে যায়।
সতর্কতা: যকৃতের রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এজিথ্রোমাইসিন ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এছাড়া, অন্যান্য এন্টিবায়োটিকের মতোই, অতিসংবেদনশীল অনুজীবঘটিত অতিসংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান: গর্ভাবস্থায় এজিথ্রোমাইসিনের ব্যবহার সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। প্রাণিজ প্রজনন নিরীক্ষায় ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যায়নি, তবে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিকল্প না থাকলে এটি ব্যবহার করা উচিত। মাতৃদুগ্ধে এজিথ্রোমাইসিনের নিঃসরণ সম্পর্কে তথ্য অপ্রতুল, তাই স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
প্রতিনির্দেশনা: এজিথ্রোমাইসিন বা অন্যান্য ম্যাক্রোলাইড এন্টিবায়োটিকের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা থাকলে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। যকৃতের গুরুতর রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও এটি প্রতিনির্দেশিত।
সংরক্ষণ: জিম্যাক্স আলো ও তাপ থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।
ঔষধটি ব্যবহারের আগে অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
0 comments:
Post a Comment